রাত প্রায় তিনটা ।
হঠাৎ করেই কবির ফোনের স্ক্রিনটা জ্বলে উঠলো । নীলার ছবিটা স্ক্রিন জুড়ে ভেসে উঠেছে ।
calling… Neel Pori
ফোনটা কেটে দিলো কবি । আবার নীলা ফোন দিলো । এবার ফোনটা রিসিভ করলো কবি ।
:হ্যালো…
:কি হলো ? ফোন কেটে দিলে কেন ?
: রাত কয়টা বাজে, দেখেছো ? আমি ঘুমাচ্ছিলাম ।
: একদম মিথ্যে বলবে না আমাকে, আমি জানি তুমি রাতে ঘুমাতে পারো না ।
: কি বলবে, বলো….
: কি করো ?
: জানি না ।
: জানি না মানে কি, হ্যা…?
: জানি না মানে, i don’t know.
: ও আচ্ছা, তাই ?
: হ্যা, তাই ।
: i love you…
: আচ্ছা, আমার ঘুম পাচ্ছে, এখন রাখি, bye.
কথা শেষ করেই ফোনটা কেটে দিলো কবি । নীলার উত্তরের অপেক্ষা করলো না ।
ফোন কাটতে না কাটতেই আবার নীলার ফোন । ফোন রিসিভ করেই কবি বললো,
: আবার কী ? bye বললাম না ?
: আমি i love u বলেছি, আমার রিপ্লাই কই ?
: জানি না ।
: আবার জানি না !
: হ্যা
: আচ্ছা, তুমি এমন করছো কেন ? এখন আর আমাকে ফোন দাও না । মেসেজের রিপ্লাই দাও না । কি হয়েছে তোমার ?
: কই ? আমার কিছু হয়নি তো ! আমি সম্পূর্ণ সূস্থ! এক দমে ক, খ সব বলে দিতে পারবো ।
: প্লিজ কবি, ফাজলামো করো না । তুমি এখন আর আমার সাথে আগের মত কথা বলো না । আমি ফোন করলেই ফোন রেখে দেয়ার জন্যে পাগল হয়ে ওঠো ! বাই বলেই ফোন রেখে দাও, আমার রিপ্লাইয়ের অপেক্ষা পর্যন্ত করো না !!! আমি কি কোন ভুল করেছি ? প্লিজ, আমাকে বলো, আমি নিজেকে শুধরে নিবো । আমার সাথে এমন করো না প্লিজ, আমার যে খুব কষ্ট হয় ।
: এত রাত জাগা ভালো না । তুমি ঘুমাও ।
: আমি তোমাকে i love u বলেছি, আমার রিপ্লাই দাও আগে ।
: কালকে দিবো, বাই…..
কবি আবার ফোন রেখে দিলো ।
কবির চোখ থেকে কখন ঝরনাধারার সৃষ্টি হয়েছে তা ও নিজেই খেয়াল করে নি । হঠাৎ করেই ওর নিজের মধ্যে থেকে কে যেন বলে উঠলো,,
i love you too….
গভীর রাতের কালো অন্ধকার, আর এক রাশ নিস্তব্ধতার মাঝে কিছু ঝি ঝি পোকার ডাক মিলে যেন এক অন্য জগতের সৃষ্টি হয়েছে । এ জগতের মাঝে অশ্রুসিক্ত দুটি চোখ নীলার ছবির দিকে নিষ্পলক ভাবে চেয়ে আছে । কবি জানে যে, আজ নীলা ঘুমাবে না, সারারাত জেগে জেগে কাঁদবে……
” প্রায় চার বছর পর, তোমায় দেখলাম ! তুমি হাসছো ! তুমি সুখী !
হ্যা, তুমি সুখী ! আমার চাওয়া আজ পূর্ণ হলো ! পৃথিবীতে আজ সব থেকে যে ব্যক্তিটি সুখী সে হলো আমি ! নিঃসন্দেহে আমি ! কেননা, তোমার সুখই যে আমার সুখ!”
শুধু শেষের এই কথাটুকু লেখার জন্যেই হয়তো কবি অনেকগুলো বছর যত্ন করে এই ডায়রীটা আগলে রেখেছিলো !! কবির এক অসীম ক্ষমতা আছে, সেটা হয়তো কষ্টকে সুখে রূপান্তর করার ক্ষমতা ।। আর কবির এ সুখটাকে হয়তো শুধু সুখ বলা যায় না, এ সুখটা হয়তো হবে কোন এক ধরনের কষ্ট ছোঁয়া সুখ……।
হঠাৎ করেই কবির ফোনের স্ক্রিনটা জ্বলে উঠলো । নীলার ছবিটা স্ক্রিন জুড়ে ভেসে উঠেছে ।
calling… Neel Pori
ফোনটা কেটে দিলো কবি । আবার নীলা ফোন দিলো । এবার ফোনটা রিসিভ করলো কবি ।
:হ্যালো…
:কি হলো ? ফোন কেটে দিলে কেন ?
: রাত কয়টা বাজে, দেখেছো ? আমি ঘুমাচ্ছিলাম ।
: একদম মিথ্যে বলবে না আমাকে, আমি জানি তুমি রাতে ঘুমাতে পারো না ।
: কি বলবে, বলো….
: কি করো ?
: জানি না ।
: জানি না মানে কি, হ্যা…?
: জানি না মানে, i don’t know.
: ও আচ্ছা, তাই ?
: হ্যা, তাই ।
: i love you…
: আচ্ছা, আমার ঘুম পাচ্ছে, এখন রাখি, bye.
কথা শেষ করেই ফোনটা কেটে দিলো কবি । নীলার উত্তরের অপেক্ষা করলো না ।
ফোন কাটতে না কাটতেই আবার নীলার ফোন । ফোন রিসিভ করেই কবি বললো,
: আবার কী ? bye বললাম না ?
: আমি i love u বলেছি, আমার রিপ্লাই কই ?
: জানি না ।
: আবার জানি না !
: হ্যা
: আচ্ছা, তুমি এমন করছো কেন ? এখন আর আমাকে ফোন দাও না । মেসেজের রিপ্লাই দাও না । কি হয়েছে তোমার ?
: কই ? আমার কিছু হয়নি তো ! আমি সম্পূর্ণ সূস্থ! এক দমে ক, খ সব বলে দিতে পারবো ।
: প্লিজ কবি, ফাজলামো করো না । তুমি এখন আর আমার সাথে আগের মত কথা বলো না । আমি ফোন করলেই ফোন রেখে দেয়ার জন্যে পাগল হয়ে ওঠো ! বাই বলেই ফোন রেখে দাও, আমার রিপ্লাইয়ের অপেক্ষা পর্যন্ত করো না !!! আমি কি কোন ভুল করেছি ? প্লিজ, আমাকে বলো, আমি নিজেকে শুধরে নিবো । আমার সাথে এমন করো না প্লিজ, আমার যে খুব কষ্ট হয় ।
: এত রাত জাগা ভালো না । তুমি ঘুমাও ।
: আমি তোমাকে i love u বলেছি, আমার রিপ্লাই দাও আগে ।
: কালকে দিবো, বাই…..
কবি আবার ফোন রেখে দিলো ।
কবির চোখ থেকে কখন ঝরনাধারার সৃষ্টি হয়েছে তা ও নিজেই খেয়াল করে নি । হঠাৎ করেই ওর নিজের মধ্যে থেকে কে যেন বলে উঠলো,,
i love you too….
গভীর রাতের কালো অন্ধকার, আর এক রাশ নিস্তব্ধতার মাঝে কিছু ঝি ঝি পোকার ডাক মিলে যেন এক অন্য জগতের সৃষ্টি হয়েছে । এ জগতের মাঝে অশ্রুসিক্ত দুটি চোখ নীলার ছবির দিকে নিষ্পলক ভাবে চেয়ে আছে । কবি জানে যে, আজ নীলা ঘুমাবে না, সারারাত জেগে জেগে কাঁদবে……
একই ক্লাসে পড়ে ওরা । তবে কাছাকাছি নয় ।
একজন আরেক জনের থেকে অনেক দূরে । তবে ওদের মন দুটি খুব কাছাকাছি, এতটা
কাছাকাছি যে, একটির থেকে আরেকটি আলাদা করা যায় না । মাত্র HSC শেষ করলো ওরা
। বয়সের দিক থেকে সব মেয়েরই হয়তো বিয়ের উত্তম সময় এটা । নীলাও এর বাইরে নয়
। প্রতিনিয়তই ওকে ছেলেপক্ষ দেখয়ে আসে, হয়তো খুব তাড়াতাড়ি ওর বিয়েও ঠিক হয়ে
যাবে ।
আর যাবেই বা না কেন ? এমন কোন গুন আছে, যা ওর নেই ? ওর মত মেয়ে যে পরিবারের বউ হয়ে যাবে, সে পরিবারে কোন কষ্ট থাকবে না । নীলার চেহারার মাঝে কেমন যেন একটা বাচ্চা বাচ্চা ভাব আছে, কবির এমনটাই মনে হয়। আর নীলার এ বাচ্চা রূপটাই বারবার নীলাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে । কবিকে অসম্ভব রকমের ভালোবাসে নীলা । এমন ভালোবাসা হয়তো সবাই পায় না । আর সবাই
হয়তো এভাবে ভালোবাসতেও জানে না। বিয়ের বয়স যদি হিসেব করা হয় তবে কবি এখনও ছোট্ট বাবুটি রয়ে গেছে, এ বয়সে কি ছেলেদের বিয়ে হয় নাকি ? তাহলে নীলাকে পাবে কিভাবে ও ? নীলা যে অন্য কারো হয়ে যাবে ! তখন যে নীলার অনেক কষ্ট হবে ওকে ছেড়ে থাকতে ! নিজের কষ্টের কথাটা একবারো ভাবে না কবি, শুধু নীলার কষ্টাটাই ভাবে । নীলাকে যে ও পাগলের মত ভালোবাসে । ও জানে, নীলা ওকে ছাড়া মন থেকে আর কাউকেই বর বলে মেনে নিতে পারবে না ! কিন্তু খুব জলদিই যে নীলার বিয়ে হয়ে যাবে ! কি করবে কবি ? ও যে বারবার নীলাকে এ ব্যাপারে বুঝাতে চেয়েছে, কিন্তু নীলা কোনভাবেই মানতে রাজি না । কবির মনে এখন একটা কাজই করার কথা বাজছে, নীলাকে প্রতিটা মুহূর্ত যন্ত্রণা দিতে হবে। এর ফলে হয়তো অল্প অল্প করে ওর উপর থেকে নীলার ভালোবাসা কমতে শুরু করবে । ওকে ভুলতে না পারলেও হয়তো ভালোবাসার কথা মনে করে চোখের জল ফেলবে না । অনেকবারই কবি নীলার থেকে দূরে সরে যেতে চেয়েছে, কিন্তু পারে নি । নীলা জোর করে আটকে রেখেছে ওকে । জোর করে নাকি কাউকে আটকে রাখা যায় না । কথাটা হয়তো ঠিকই, কারন কবি যে কখনোই মন থেকে দূরে যেতে চায় নি । তাই বারবারই নীলার ভালোবাসার জালে আটকে পড়েছে ও,, তাই এবার কবি অল্প অল্প করে নীলাকেই ওর
থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চাইছে, যাতে কবিকে কেউ আটকে রাখতে না পারে ।
কবি যে অনেক ভালোবাসে নীলাকে, অনেক…. তাই ভবিষ্যতে কবির কথা মনে পড়ে যেন নীলার চোখের জল না ঝরে তাই এমন পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে কবি ।
নীলার কষ্ট হলে যে কবিরই ভীষণ কষ্ট হয়, তবে ক্ষণিকের জন্যে নীলাকে কষ্ট দিয়ে যদি ওর সুখটা কবি দীর্ঘ করতে পারে তবে সে কষ্ট দিতে কবি পিছপা হবে না যে….!
কিছুদিন পর……. সকাল প্রায় দশটার দিকে নীলার ফোনে কবির ঘুম ভাঙলো,
ফোন রিসিভ করেই কবি নীলাকে ধমকাতে শুরু করলো,,
: তোমার জন্যে কি আমি একটু ঘুমাতেও পারবো না ? এত বিরক্ত করো কেন আমাকে?
: আমি তোমাকে বিরক্ত করি ?
: হ্যা, করোই তো !
: আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি কবি, প্লিজ আমার সাথে এমন করো না, আমি যে আর নিতে পারছি না।
: পারছো না যখন, তখন জোর করে পারতে চাইছো কেন ? আমি তোমাকে ভালোবাসি না ।
: তুমি আমাকে ভালোবাসো না ?
নীলা কাদছে, কবি সব সইতে পারে কিন্তু নীলার চোখের জল সইতে পারে না । হয়তো সামনের দিনগুলোর চোখের জল মুছিয়ে দিতেই ইচ্ছে করে এখন সেই জলগুলোকে ঝরতে দিচ্ছে,,
: না, আমি তোমাকে ভালোবাসি না।
: তাহলে এতদিনের এ সম্পর্কটাকে কি বলবে তুমি ?
: আচ্ছা, সম্পর্ক কোথায় পাচ্ছো তুমি ! আমি এতদিন যা করেছি তা আমার নিজের জন্যেই করেছি, একা একা আমার সময় কাটতো না, তাই তোমার সাথে সময়
কাটিয়েছি, তোমাকে কখনোই আমি ভালোবাসি নি । আর তুমি ভাবলে কি করে যে আমি তোমার মতো একটা মেয়েকে ভালোবাসবো…..?
: ও হ্যা, তাইতো….! আমার মত
একটা মেয়েকে ভালোবাসতে যাবে কেন ! তোমার বউটা যেন অনেক সুন্দর হয়, অনেক ভালো হয়, যেন আমার মত না হয়….. কাঁদতে কাঁদতে অনেক কষ্টে কথা গুলো বলে ফোন কেটে দিলো নীলা, ফোনটা রেখে দিয়ে চোখ মুছলো কবি । মনে মনে বিড়বিড় করলো,, ” ভালো থেকো নীলপরী, অনেক অনেক ভালো থেকো, তোমার মনের মাঝের এই কষ্টটাই যেন আমাকে তোমার মন থেকে মুছে দেয় ।
তোমায় যে আমাকে ছাড়াই আরো বহুদূর পথ চলতে হবে, আমি যেন তোমার ভবিষ্যতের সুখের কাটা না হই তাই তোমায় কষ্ট দিলাম, আমায় ভুল বোঝো, আমায় যেন ভালোবাসার স্থান থেকে নামিয়ে ঘৃণার চোখে দেখতে পারো, তার জন্যেই আমার এতকিছু করা, বিয়ে করে সুখী হও, কিছু কষ্ট দিয়ে তোমার অতীত মুছে সেখানে ভবিষ্যত লেখার জায়গা করে দিলাম, যেখানে থাকবে এক আকাশ সুখ, তোমার সুখই যে আমার সুখ,, এরপর থেকে মাঝে মেঝে নীলা কবিকে ফোন দিয়ে কাদতো, আর বারবার বলতো, “আমার সাথে এমন করো না, আমাকে ছেড়ে যেও না, আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না” নীলার ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দেয় কবি, তারপর বিভিন্ন অপরিচিত নাম্বার থেকে নীলার ফোন আসতো, তখন থেকে কবি অপরিচিত নাম্বারও রিসিভ করা বন্ধ করে দেয়…..
অনেকদিন পর হঠাৎ একদিন কবির ফোনে একটা মেসেজ আসে, মেসেজটা দেখে চমকে ওঠে কবি, নীলার মেসেজ….! মেসেজে লেখা ছিলো,
” আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, তুমি শুধু একটা বার আমাকে বলো যে তুমি আমাকে ভালোবাসো, আমি সবকিছু ছেড়ে তোমার কাছে চলে আসবো, আমি যে তোমাকে অনেক ভালোবাসি, অনেক, অনেক, অনকে….” এরপর কবি ওর সিমকার্ড ও চেঞ্জ করে ফেলে, নীলা পরেও কবির সাথে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু কোন লাভ হয় নি……
এরপর আজ প্রায় চারটা বছর কেটে গেছে,,,,
ধানমন্ডি লেকের পাড়ে বসে আছে কবি আর ওর ছোট বোন, ওর বোনটা নতুন ঢাকায় এসছে বলে ওকে নিয়ে ঘুরতে এসছে কবি । সন্ধ্যা হতে যাচ্ছে, তাই ওরা উঠে দাড়ালো, বাড়ি ফিরবে বলে । হঠাৎ করেই কোথা থেকে কবির গালে সজোরে একটা থাপ্পড় পড়লো, কবির কালো মোটা ফ্রেমের চশমাটা খুলে পড়ে গেল,
চশমা তুলে সামনে চাইতেই কবি বরফের মত শীতল হয়ে গেলো, নীলা….!! এখানে….!!!
” ভালোবাসা নামের পবিত্র জিনিস নিয়ে খেলার জন্য এটা তোমার প্রাপ্য ছিলো, এখানে বসে বসে প্রেম করছো? ও আচ্ছা, ভালোবাসার তুমি কি বোঝ ? এখন বুঝি এই মেয়েটার সাথে তোমার অবসর সময়টা কাটাচ্ছো !! ”
কথা গুলো শেষ করেই নীলা চলে গেল, কোন উত্তরের অপেক্ষা করলো না, অবশ্য অপেক্ষা করলেও লাভ হতো না, কোন উত্তরই যে ছিলো না কবির কাছে….. কিছু দূরে গিয়ে নীলা একজন সুঠাম দেহী যুবকের হাত ধরে এগিয়ে যেতে লাগলো, দূর থেকে নীলার হাসির আওয়াজ ভেসে আসছিলো ।
: ভাইয়া….!!
: হ্যা, বল ।
কবির ছোট বোনের কন্ঠে বাস্তবে ফিরে এল ও আবার,
: কে উনি ? বাজে বাজে কথা বলে গেল । বাজে সব ব্যবহার করে গেলো, আর তুই কিছু বললি না কেন?
: ও কিছু না, দেরী হয়ে যাচ্ছে, চল যাই । একটা হাসি দিয়ে কবি উত্তর দিলো । এখানেই হয়তো সব কিছুর শেষ হতে পারতো, তবে কবির ডায়রীটা আছে আমার কাছে, সেখান থেকে কিছু কথা না বললেই নয়, তাই সেখান থেকে কিছু কিছু লেখা তুলে ধরছি,,,
” দুপুরে খেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম, আমার নীলপরীটার ফোনে ঘুম ভাঙলো, ফোনে ওর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি । বিনা কারনে নয়, কারন হল ও অনেক ভালো একটা মেয়ে । ওর বিয়ের কথা চলছে ওর বাসায় । ফোনে কথা বলা নিয়ে অনেক বকাঝকা শুনতে হয় ওকে, ওর ভাইয়া যদি এর পর থেকে কখনো যদি ওকে ফোনে কথা বলতে শোনে তাহলে নাকি ওকে মার দিবে,, আমি কি করে এত ভালো একটা মেয়েকে মার খাওয়াই ? এর থেকে ভালো আমি ওকে বকা দেই, ও আর আমাকে ফোন না দিক, আস্তে আস্তে ভুল বুঝে আমার থেকে থেকে দূরে চলে যাক। “
আর যাবেই বা না কেন ? এমন কোন গুন আছে, যা ওর নেই ? ওর মত মেয়ে যে পরিবারের বউ হয়ে যাবে, সে পরিবারে কোন কষ্ট থাকবে না । নীলার চেহারার মাঝে কেমন যেন একটা বাচ্চা বাচ্চা ভাব আছে, কবির এমনটাই মনে হয়। আর নীলার এ বাচ্চা রূপটাই বারবার নীলাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে । কবিকে অসম্ভব রকমের ভালোবাসে নীলা । এমন ভালোবাসা হয়তো সবাই পায় না । আর সবাই
হয়তো এভাবে ভালোবাসতেও জানে না। বিয়ের বয়স যদি হিসেব করা হয় তবে কবি এখনও ছোট্ট বাবুটি রয়ে গেছে, এ বয়সে কি ছেলেদের বিয়ে হয় নাকি ? তাহলে নীলাকে পাবে কিভাবে ও ? নীলা যে অন্য কারো হয়ে যাবে ! তখন যে নীলার অনেক কষ্ট হবে ওকে ছেড়ে থাকতে ! নিজের কষ্টের কথাটা একবারো ভাবে না কবি, শুধু নীলার কষ্টাটাই ভাবে । নীলাকে যে ও পাগলের মত ভালোবাসে । ও জানে, নীলা ওকে ছাড়া মন থেকে আর কাউকেই বর বলে মেনে নিতে পারবে না ! কিন্তু খুব জলদিই যে নীলার বিয়ে হয়ে যাবে ! কি করবে কবি ? ও যে বারবার নীলাকে এ ব্যাপারে বুঝাতে চেয়েছে, কিন্তু নীলা কোনভাবেই মানতে রাজি না । কবির মনে এখন একটা কাজই করার কথা বাজছে, নীলাকে প্রতিটা মুহূর্ত যন্ত্রণা দিতে হবে। এর ফলে হয়তো অল্প অল্প করে ওর উপর থেকে নীলার ভালোবাসা কমতে শুরু করবে । ওকে ভুলতে না পারলেও হয়তো ভালোবাসার কথা মনে করে চোখের জল ফেলবে না । অনেকবারই কবি নীলার থেকে দূরে সরে যেতে চেয়েছে, কিন্তু পারে নি । নীলা জোর করে আটকে রেখেছে ওকে । জোর করে নাকি কাউকে আটকে রাখা যায় না । কথাটা হয়তো ঠিকই, কারন কবি যে কখনোই মন থেকে দূরে যেতে চায় নি । তাই বারবারই নীলার ভালোবাসার জালে আটকে পড়েছে ও,, তাই এবার কবি অল্প অল্প করে নীলাকেই ওর
থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চাইছে, যাতে কবিকে কেউ আটকে রাখতে না পারে ।
কবি যে অনেক ভালোবাসে নীলাকে, অনেক…. তাই ভবিষ্যতে কবির কথা মনে পড়ে যেন নীলার চোখের জল না ঝরে তাই এমন পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে কবি ।
নীলার কষ্ট হলে যে কবিরই ভীষণ কষ্ট হয়, তবে ক্ষণিকের জন্যে নীলাকে কষ্ট দিয়ে যদি ওর সুখটা কবি দীর্ঘ করতে পারে তবে সে কষ্ট দিতে কবি পিছপা হবে না যে….!
কিছুদিন পর……. সকাল প্রায় দশটার দিকে নীলার ফোনে কবির ঘুম ভাঙলো,
ফোন রিসিভ করেই কবি নীলাকে ধমকাতে শুরু করলো,,
: তোমার জন্যে কি আমি একটু ঘুমাতেও পারবো না ? এত বিরক্ত করো কেন আমাকে?
: আমি তোমাকে বিরক্ত করি ?
: হ্যা, করোই তো !
: আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি কবি, প্লিজ আমার সাথে এমন করো না, আমি যে আর নিতে পারছি না।
: পারছো না যখন, তখন জোর করে পারতে চাইছো কেন ? আমি তোমাকে ভালোবাসি না ।
: তুমি আমাকে ভালোবাসো না ?
নীলা কাদছে, কবি সব সইতে পারে কিন্তু নীলার চোখের জল সইতে পারে না । হয়তো সামনের দিনগুলোর চোখের জল মুছিয়ে দিতেই ইচ্ছে করে এখন সেই জলগুলোকে ঝরতে দিচ্ছে,,
: না, আমি তোমাকে ভালোবাসি না।
: তাহলে এতদিনের এ সম্পর্কটাকে কি বলবে তুমি ?
: আচ্ছা, সম্পর্ক কোথায় পাচ্ছো তুমি ! আমি এতদিন যা করেছি তা আমার নিজের জন্যেই করেছি, একা একা আমার সময় কাটতো না, তাই তোমার সাথে সময়
কাটিয়েছি, তোমাকে কখনোই আমি ভালোবাসি নি । আর তুমি ভাবলে কি করে যে আমি তোমার মতো একটা মেয়েকে ভালোবাসবো…..?
: ও হ্যা, তাইতো….! আমার মত
একটা মেয়েকে ভালোবাসতে যাবে কেন ! তোমার বউটা যেন অনেক সুন্দর হয়, অনেক ভালো হয়, যেন আমার মত না হয়….. কাঁদতে কাঁদতে অনেক কষ্টে কথা গুলো বলে ফোন কেটে দিলো নীলা, ফোনটা রেখে দিয়ে চোখ মুছলো কবি । মনে মনে বিড়বিড় করলো,, ” ভালো থেকো নীলপরী, অনেক অনেক ভালো থেকো, তোমার মনের মাঝের এই কষ্টটাই যেন আমাকে তোমার মন থেকে মুছে দেয় ।
তোমায় যে আমাকে ছাড়াই আরো বহুদূর পথ চলতে হবে, আমি যেন তোমার ভবিষ্যতের সুখের কাটা না হই তাই তোমায় কষ্ট দিলাম, আমায় ভুল বোঝো, আমায় যেন ভালোবাসার স্থান থেকে নামিয়ে ঘৃণার চোখে দেখতে পারো, তার জন্যেই আমার এতকিছু করা, বিয়ে করে সুখী হও, কিছু কষ্ট দিয়ে তোমার অতীত মুছে সেখানে ভবিষ্যত লেখার জায়গা করে দিলাম, যেখানে থাকবে এক আকাশ সুখ, তোমার সুখই যে আমার সুখ,, এরপর থেকে মাঝে মেঝে নীলা কবিকে ফোন দিয়ে কাদতো, আর বারবার বলতো, “আমার সাথে এমন করো না, আমাকে ছেড়ে যেও না, আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না” নীলার ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দেয় কবি, তারপর বিভিন্ন অপরিচিত নাম্বার থেকে নীলার ফোন আসতো, তখন থেকে কবি অপরিচিত নাম্বারও রিসিভ করা বন্ধ করে দেয়…..
অনেকদিন পর হঠাৎ একদিন কবির ফোনে একটা মেসেজ আসে, মেসেজটা দেখে চমকে ওঠে কবি, নীলার মেসেজ….! মেসেজে লেখা ছিলো,
” আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, তুমি শুধু একটা বার আমাকে বলো যে তুমি আমাকে ভালোবাসো, আমি সবকিছু ছেড়ে তোমার কাছে চলে আসবো, আমি যে তোমাকে অনেক ভালোবাসি, অনেক, অনেক, অনকে….” এরপর কবি ওর সিমকার্ড ও চেঞ্জ করে ফেলে, নীলা পরেও কবির সাথে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু কোন লাভ হয় নি……
এরপর আজ প্রায় চারটা বছর কেটে গেছে,,,,
ধানমন্ডি লেকের পাড়ে বসে আছে কবি আর ওর ছোট বোন, ওর বোনটা নতুন ঢাকায় এসছে বলে ওকে নিয়ে ঘুরতে এসছে কবি । সন্ধ্যা হতে যাচ্ছে, তাই ওরা উঠে দাড়ালো, বাড়ি ফিরবে বলে । হঠাৎ করেই কোথা থেকে কবির গালে সজোরে একটা থাপ্পড় পড়লো, কবির কালো মোটা ফ্রেমের চশমাটা খুলে পড়ে গেল,
চশমা তুলে সামনে চাইতেই কবি বরফের মত শীতল হয়ে গেলো, নীলা….!! এখানে….!!!
” ভালোবাসা নামের পবিত্র জিনিস নিয়ে খেলার জন্য এটা তোমার প্রাপ্য ছিলো, এখানে বসে বসে প্রেম করছো? ও আচ্ছা, ভালোবাসার তুমি কি বোঝ ? এখন বুঝি এই মেয়েটার সাথে তোমার অবসর সময়টা কাটাচ্ছো !! ”
কথা গুলো শেষ করেই নীলা চলে গেল, কোন উত্তরের অপেক্ষা করলো না, অবশ্য অপেক্ষা করলেও লাভ হতো না, কোন উত্তরই যে ছিলো না কবির কাছে….. কিছু দূরে গিয়ে নীলা একজন সুঠাম দেহী যুবকের হাত ধরে এগিয়ে যেতে লাগলো, দূর থেকে নীলার হাসির আওয়াজ ভেসে আসছিলো ।
: ভাইয়া….!!
: হ্যা, বল ।
কবির ছোট বোনের কন্ঠে বাস্তবে ফিরে এল ও আবার,
: কে উনি ? বাজে বাজে কথা বলে গেল । বাজে সব ব্যবহার করে গেলো, আর তুই কিছু বললি না কেন?
: ও কিছু না, দেরী হয়ে যাচ্ছে, চল যাই । একটা হাসি দিয়ে কবি উত্তর দিলো । এখানেই হয়তো সব কিছুর শেষ হতে পারতো, তবে কবির ডায়রীটা আছে আমার কাছে, সেখান থেকে কিছু কথা না বললেই নয়, তাই সেখান থেকে কিছু কিছু লেখা তুলে ধরছি,,,
” দুপুরে খেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম, আমার নীলপরীটার ফোনে ঘুম ভাঙলো, ফোনে ওর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি । বিনা কারনে নয়, কারন হল ও অনেক ভালো একটা মেয়ে । ওর বিয়ের কথা চলছে ওর বাসায় । ফোনে কথা বলা নিয়ে অনেক বকাঝকা শুনতে হয় ওকে, ওর ভাইয়া যদি এর পর থেকে কখনো যদি ওকে ফোনে কথা বলতে শোনে তাহলে নাকি ওকে মার দিবে,, আমি কি করে এত ভালো একটা মেয়েকে মার খাওয়াই ? এর থেকে ভালো আমি ওকে বকা দেই, ও আর আমাকে ফোন না দিক, আস্তে আস্তে ভুল বুঝে আমার থেকে থেকে দূরে চলে যাক। “
“আচ্ছা আম্মু, পৃথিবীতে কত রকম ভালোবাসা
থাকে তুমি জানো ? আমি কয়েকটা জানি, মা বাবার সাথে সন্তানের ভালোবাসা, ভাই
বোনের ভালোবাসা, আত্মীয়স্বজনদের মধ্যকার ভালোবাসা, কিছু দিন আগে একটা
ভালোবাসা শিখেছি, জীবনসঙ্গী রূপে পাওয়ার আশায় কাউকে ভালোবাসা । জানো আম্মু,
আমার একটা নীলপরী আছে । ও আমাকে অনেক ভালোবাসে । আমিও ওকে অনেক ভালোবাসি ।
অনেক অনেক অনেক। পরীরা নাকি অনেক সুন্দর হয়, দেখিনি তো কখনো, তাই জানি না,
তবে ওর মনটা আম্মু পরীদের থেকেও অনেক বেশী সুন্দর, এটা আমি জানি । আম্মু,
আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি । তোমার মুখে একটুকরো হাসি দেখার জন্য আমি যে কোন
কিছু করতে পারি । তোমাকে কখনো কষ্ট দিতে পারবো না আমি ।
আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তবে একটা রাজ প্রাসাদ বানিয়ে তোমাকে আর আব্বুকে রাজ আসনে বসিয়ে রাখতাম । আমার নীলপরী টা কে ও যে আমি অনেক ভালোবাসি । ওকে ছাড়া থাকতে যে আমার অনেক কষ্ট হবে। তোমাদের সম্মান নষ্ট হয়, তোমাদের কষ্ট পেতে হয় এমন কোন কাজই আমি করবো না । তোমার খুশির জন্যে আমি আমার সব কিছু বিসর্জন দিতে পারি । তাতে যদি এমন হাজারটা নীলপরীকে না পাওয়ার
বেদনা নিয়ে হাসতে হয় তবে আমি হাসবো, শুধু তোমার জন্য আম্মু, শুধু তোমার জন্য…… তবুও তোমাকে আমার এই ছোট্ট বাবুর বয়সে নিজের সুখের জন্য কখনো বলবো না যা আমার নীলপরী চাই……..” ” আমার নীলপরীর জন্য কিছু কথা, যারা আমাকে পৃথিবীর বুকে এনেছেন, আমাকে ভালোবাসা দিয়ে এত বড় করেছেন, যারা আমাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন, তাদের কষ্ট দিয়ে আমি তোমায় নিয়ে সুখী হতে পারবো না । এ বলে কখনো ভেবো না যে আমি তোমাকে ঠকিয়েছি ! আমি তোমাকে ভালোবাসি, আর এর মধ্যে বিন্দু পরিমান খাদ নেই । তোমার কষ্ট আমি সইতে পারবো না, আর তোমায় আমি কাছেও টেনে নিতে পারবো না । তাই কষ্ট দিয়ে তোমায় দূরে সরিয়ে দিলাম, যাতে আমায় ভুলে সুখী হতে পারো তুমি । আমি যে আম্মুকে দেখে নিজে কষ্ট পেতে শিখেছি, কাউকে কষ্ট দিতে শিখিনি, তোমায় তোমাকে দেয়া কষ্ট গুলো তোমারই সুখের জন্যে, জানি হয়তো তার জন্যা সারাটা জীবন তোমার কাছে অপরাধী হয়ে রবো, তাতে কি…?
তুমি তো সুখে থাকবে ! তোমার সুখই যে আমার সুখ !!!””
ডায়রীর এর পরের পাতাগুলোতে আর কিছু লেখা নেই, তবে একেবারে শেষের পাতায় কিছু লেখা আছে,,আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তবে একটা রাজ প্রাসাদ বানিয়ে তোমাকে আর আব্বুকে রাজ আসনে বসিয়ে রাখতাম । আমার নীলপরী টা কে ও যে আমি অনেক ভালোবাসি । ওকে ছাড়া থাকতে যে আমার অনেক কষ্ট হবে। তোমাদের সম্মান নষ্ট হয়, তোমাদের কষ্ট পেতে হয় এমন কোন কাজই আমি করবো না । তোমার খুশির জন্যে আমি আমার সব কিছু বিসর্জন দিতে পারি । তাতে যদি এমন হাজারটা নীলপরীকে না পাওয়ার
বেদনা নিয়ে হাসতে হয় তবে আমি হাসবো, শুধু তোমার জন্য আম্মু, শুধু তোমার জন্য…… তবুও তোমাকে আমার এই ছোট্ট বাবুর বয়সে নিজের সুখের জন্য কখনো বলবো না যা আমার নীলপরী চাই……..” ” আমার নীলপরীর জন্য কিছু কথা, যারা আমাকে পৃথিবীর বুকে এনেছেন, আমাকে ভালোবাসা দিয়ে এত বড় করেছেন, যারা আমাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন, তাদের কষ্ট দিয়ে আমি তোমায় নিয়ে সুখী হতে পারবো না । এ বলে কখনো ভেবো না যে আমি তোমাকে ঠকিয়েছি ! আমি তোমাকে ভালোবাসি, আর এর মধ্যে বিন্দু পরিমান খাদ নেই । তোমার কষ্ট আমি সইতে পারবো না, আর তোমায় আমি কাছেও টেনে নিতে পারবো না । তাই কষ্ট দিয়ে তোমায় দূরে সরিয়ে দিলাম, যাতে আমায় ভুলে সুখী হতে পারো তুমি । আমি যে আম্মুকে দেখে নিজে কষ্ট পেতে শিখেছি, কাউকে কষ্ট দিতে শিখিনি, তোমায় তোমাকে দেয়া কষ্ট গুলো তোমারই সুখের জন্যে, জানি হয়তো তার জন্যা সারাটা জীবন তোমার কাছে অপরাধী হয়ে রবো, তাতে কি…?
তুমি তো সুখে থাকবে ! তোমার সুখই যে আমার সুখ !!!””
” প্রায় চার বছর পর, তোমায় দেখলাম ! তুমি হাসছো ! তুমি সুখী !
হ্যা, তুমি সুখী ! আমার চাওয়া আজ পূর্ণ হলো ! পৃথিবীতে আজ সব থেকে যে ব্যক্তিটি সুখী সে হলো আমি ! নিঃসন্দেহে আমি ! কেননা, তোমার সুখই যে আমার সুখ!”
শুধু শেষের এই কথাটুকু লেখার জন্যেই হয়তো কবি অনেকগুলো বছর যত্ন করে এই ডায়রীটা আগলে রেখেছিলো !! কবির এক অসীম ক্ষমতা আছে, সেটা হয়তো কষ্টকে সুখে রূপান্তর করার ক্ষমতা ।। আর কবির এ সুখটাকে হয়তো শুধু সুখ বলা যায় না, এ সুখটা হয়তো হবে কোন এক ধরনের কষ্ট ছোঁয়া সুখ……।
By Omar Faruk
0 comments:
Post a Comment