Saturday, February 18, 2017


মার্টফোন তো এখন হাতে হাতে। আর সবাই চায় ভাস সেলফি তুলতে। কিন্তু সেলফি তোলা অত সহজ নয়। চাইলেও হাত আড়াল করা যায় না। সেলফি স্টিক ব্যবহারেও সমস্যা রয়েছে। সেলফি তোলার সময় স্টিক আড়াল করা যায় না। এখন তাই ও সব পুরনো। এখন ছবি তুলুন উড়ন্ত ক্যামেরায়। চাইলে ভিডিও তুলতেও অসুবিধা নেই। একেবারে নতুন অ্যাঙ্গেল থেকে তোলা যাবে ছবি। সেলফি এবার তুলতে পারবেন ছোট্ট উড়ন্ত ক্যামেরায়। এয়ার সেলফি নামের নতুন এই উড়ন্ত সেলফি ক্যামেরাটি আসলে একটা ছোট্ট ড্রোন এবং এটি এতটাই ছোট এবং হালকা যে, স্মার্টফোন এবং ড্রোন, দুটোই এর খাপের মধ্যে রাখা যাবে। অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি এই সেলফি ড্রোনের ওজন মাত্র ৫২ গ্রাম।

বাজারে আসার জন্য তৈরি এয়ার সেলফি। ইতিমধ্যেই এয়ার সেলফি অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছে। মার্কিন বাজারে এর মূল্য ২৬০ ডলার। এই মুহূর্তে ভারতীয় টাকার হিসেবে খরচ মোটামুটি সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে, মে মাস থেকে সিপিং শুরু হবে। এই সেলফি ড্রোন ক্যামেরা থাকলে নিজের দুর্দান্ত সেলফি কিংবা গ্রুপ সেলফি তোলা যাবে সহজেই। ৫ মেগাপিক্সেল এইচডি ভিডিও ক্যামেরাযুক্ত এয়ার সেলফি ডিভাইসটিতে রয়েছে ২৬০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। টানা ৩ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে ডিভাইসটিকে ওড়ানো যাবে এবং ছবি তোলা যাবে। নতুন করে ফুল চার্জ হতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। ডিভাইসটি মাটি থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত ওপরে উঠতে পারবে। স্মার্টফোন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

যদি সত্যি সত্যি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় এবং কেউ ক্ষতিগ্রস্ত বা লাভবান হন তাহলে গণিত পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস এড়াতে নানা রকমের পদক্ষেপ নিয়েছি। তদন্ত চলছে, যদি প্রমাণ হয় তাহলে গণিত পরীক্ষা বাতিল করে দেবো। পরীক্ষার কমপক্ষে দু’ঘণ্টা আগে প্রশ্ন পাঠাতে হয়। এরপরও যদি কোনো শিক্ষক এ কাজ করেন, তখন কিছু করার থাকে না।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।
এসএসসিতে ১২ ফেব্রুয়ারি (রোববার) গণিত পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে প্রশ্ন পাওয়া যায়। এর আগে সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাবির এমআইএস ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. হেলাল উদ্দিন আহমেদ এবং কোডারস ট্রাস্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জন কায়ো ফিবিগ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাবির এমআইএস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন এবং কোডারস ট্রাস্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আতাউল গণি ওসমানী।
কোডারস ট্রাস্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জন কায়ো ফিবিগ বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা এবং মেধা রয়েছে, তাদের শুধু প্রয়োজন সঠিকভাবে পথ দেখানো, যাতে ভবিষ্যতে তারা নিজেদের দক্ষতা দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
ঢাবির এমআইএস ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই উদ্যোগের ফলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাদের নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর ধরে কোডারস ট্রাস্টের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম মূলত ঢাকা কেন্দ্রিক ছিল। যদিও তারা চট্টগ্রাম ও সিলেটে সফলভাবে দুইটি পাইলট প্রজেক্ট শেষ করেছে। ২০১৭ সালে কোডারস ট্রাস্টের লক্ষ্য ‘শিখবে সবাই’র মাধ্যমে সারাদেশে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়া এবং এ বছরের মধ্যেই দশ হাজার নতুন ফ্রিলান্সার তৈরি করা।

এ প্রসঙ্গে কোডারস ট্রাস্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আতাউল গণি ওসমানী বলেন, শুরু থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আমাদের অনুরোধ করেছে তারা কীভাবে এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন, সেই বিষয়টি বিবেচনায় এনে এখন থেকে পর্যায়ক্রমে কোডারস ট্রাস্টের সব কোর্স অনলাইনে লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে শিখতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসার দরকার নেই, আমরা ক্লাসটাই তাদের কাছে নিয়ে যাচ্ছি- অনলাইন লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে।

প্রসঙ্গত, কোডারস ট্রাস্ট বাংলাদেশ গত তিন বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে এবং অনেক প্রশিক্ষণার্থী ইতোমধ্যে সফলতার সঙ্গে অনলাইনে কাজ করছেন। এ পর্যন্ত কোডারস ট্রাস্টে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৫০০ এরও বেশি ফ্রিলান্সার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন এবং বর্তমানে এক হাজারেরও বেশি প্রশিক্ষণার্থী কোডারস ট্রাস্ট ‘লার্ন অ্যান্ড আর্ন’ সেন্টারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। কোডারস ট্রাস্ট ডেনমার্কভিত্তিক কোম্পানি হলেও বাংলাদেশের সফলতার ওপর ভিত্তি করেই আরও ছয়টা দেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।